October 22, 2024, 5:35 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় পুরুষ শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি মোঃ সাদেকুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
ভিকটিম পুরুষ শিশু (১৩) চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার একটি মাদ্রাসার ছাত্র। সে গত ০১ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ হতে উক্ত মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসাবে পড়ালেখা করে আসছিল। গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম ভিকটিমের পিতাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, তার ছেলে গুরুতর অসুস্থ এবং ডাক্তার তাকে বাড়ি নিয়ে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা তার খালাতো ভাইকে ভিকটিমের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মাদ্রসায় পাঠায়। সে মাদ্রাসায় গিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর অসুস্থ দেখতে পায় এবং শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম এর সহযোগিতায় ভিকটিমকে সিএনজি যোগে ভিকটিমের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর হতে মোঃ সাদেকুল ইসলাম বারবার মোবাইলে ফোন করে ভিকটিম সুস্থ হয়েছে কিনা তার পিতার নিকট তা জানতে চায়। অসুস্থ ভিকটিম তার পরিবারকে জানায় গত ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ০০৩০ ঘটিকায় তাকে মোঃ সাদেকুল ইসলাম তার বিছানায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিজ যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের পরনের লুঙ্গি খুলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার পায়ুপথে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে যৌন মিলন করে। সাদেকুল ইসলাম ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে কাউকে বলতে নিষেধ করে এবং বললে মারধর করবে বলে হুমকি প্রদান করে। উল্লেখ্য, মোঃ সাদেকুল ইসলাম পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ৮/১০ বার ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে ভিকটিম তার পরিবারকে জানায়।
উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোহাম্মদ ফারুখ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় মোঃ সাদেকুল ইসলাম’কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৭, তারিখ- ২১ অক্টোবর ২০২৪ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং-২০২০) এর ৯(১)।
ভিকটিমের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১৬১৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকার বর্ণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সাদেকুল ইসলাম (২৪), পিতা- মোঃ ফরিদুল আলম, সাং- সিকদারপাড়া, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।